সোমবার, ০৮ মার্চ ২০২১, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
বাংলার মুখ ডেক্স:
ঝিনাইদহের চাঞ্চল্যকর বিসিআইসি সার ডিলার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল লতিফ হত্যা মামলায় দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড । একই সাথে দন্ডিতদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে । জরিমানার টাকা অনাদায়ী হলে আরো দুই বছরের কারাদন্ড ভোগ করার নিদের্শ দিয়েছেন আদালত । রোববার দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক গোলাম আযম এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো-শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া গ্রামের মোস্তাকুর রহমান ওরফে ব্যানেট ও কামান্না গ্রামের শামু আমমেদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়,ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ভাটইবাজারের বিসিআইসি সার ডিলার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল লতিফ । তার বাড়ির বাজারের কাছে আহসাননগর গ্রামে । ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল মোটর সাইকেল চড়ে পাওনাদারদের কাছে টাকা আদায় করতে বাড়ি থেকে বেরহন তিনি ।পথে উপজেলা শহরের কবিরপুর অগ্রনী ব্যাংকের সামনে পৌঁছালে আসামীরা তাকে পরিকল্পিত ভাবে অপহরণ করে । এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় একই উপজেলার বগুড়া গ্রামে । সেখানে তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে গ্রামে বাহার খানের একটি মেহগনি বাগানে মাটিচাপা দিয়ে রাখে ।এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ছেলে মামুনুর রশিদ বাদি হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।এ মামলার সুত্র ধরে পুলিশ মোস্তাকুর রহমান ওরফে ব্যানেটকে আটক করে। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক একই বছরের ৯ এপ্রিল তৎকালীন পুলিশ সুপার রেজাউল ইসলামের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে হাজী আব্দুল লতিফের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয় ।পরের বছর ২০১১ সালের ১১ মে ৪ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ ।দীর্ঘ শুনানী ও ১৬ জন স্বাক্ষীর বক্তব্য গ্রহন শেষে আদালত চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষনা করেন ।
আদালত সুত্র জানায় এ মামলার প্রধান আসামী শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া গ্রামের কানা সুকনাল বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।অপর জন মো: রাকু পলাতক রয়েছে । তাকে ৫ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। দন্ডি আসামী মোস্তাকুর রহমান ওরফে ব্যানেটের কাছে নিহত ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল লতিফ ৩ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ টাকা পাওনা ছিলেন । এই টাকা লেনদেন নিয়ে খুনের ঘটনাটি ঘটে ।
Leave a Reply